1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
বাগমারায় সুদ ব্যবসায়ীদের খপ্পরে সর্বশান্ত এলাকার হতদরিদ্র পরিবার - এশিয়া বার্তা
রবিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

বাগমারায় সুদ ব্যবসায়ীদের খপ্পরে সর্বশান্ত এলাকার হতদরিদ্র পরিবার

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহীর বাগমারায় অনিয়ন্ত্রিত ও অনিবন্ধিত সুদ ব্যবসার কারনে সর্বশান্ত হচ্ছে হতদরিদ্র অসহায় পরিবার। এই সুদ বাহিনীর দাপটে আবার ঘর ছাড়া হয়েছে অসংখ্য পরিবার।

সরেজমিন ঘুরে এই রকমই কয়েকজন ব্যক্তির নাম উঠে আসে মিডিয়াকর্মীর হাতে। এর মধ্যে বাগমারা উপজেলার নরদাস ইউনিয়নের হাটমাধনগর এলাকার আহসান হাবিবের ছেলে সাদ্দাম হোসেন(৩২) এর ভয়ে বাজারে আসতে পারেনা অসংখ্য অসহায় মানুষ। ঐ এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভুগীর সাথে কথা বলে জানাযায়, দেশে চলমান করোনা জনিত কারনে সরকার কিছুদিন আগে লকডাউন ঘোষনা করেছিল। আর লকডাউনের কারনেই তাদের আই রোজগার একেবারে শূণ্যের কোঠাই এসে দাঁড়ায়। তাই পরিবারে স্ত্রী সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে বাধ্য হয়ে সুদ গ্রহন করেছিলেন তারা। কিন্তু এই সুদ ব্যবসায়ী সাদ্দামের অত্যাচারে রাতে ঘুমাতে পারেন ঠিকমত। যারা ব্যবসা করেন তাদের দোকান বন্ধেন ঘোষনা দেন ও দোকান লিখে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এরকমই একজন ভুক্তভুগী বলেন, আমি একজন সার ও কিটনাশক ব্যবসায়ী, মাত্র কিছুদিন আগে আমার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। আর বিয়ে দেওয়ার কারনে আমার আর্থিক খুব অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়ি। তাই বাধ্য হয়ে ফাঁকা ষ্ট্যাম্টের উপর সই দিয়ে এই সাদ্দামের নিকট থেকে কয়েকবারে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা নিই মাসে প্রতি হাজারে দুইশত টাকা হারে সুদে। এরপর থেকে শুরু হয় সাদ্দামের অত্যাচার। বাধ্য হয়ে কয়েক মাস পরে আমার বিলের দুই লক্ষ টাকার শেয়ার সাদ্দামরর নামে লিখে দিতে হয় এছাড়াও আরো নগদ টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে আমাকে বাজারে আসতে দিবেনা বলে হুমকি দিত। ঠিক এমনি আর অনেক ভুক্তভোগী আছে যা বলে বা লিখে শেষ হবে না। এরকম অত্যাচারে অতিষ্ঠ্য হয়ে গত ৫ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ একই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনসহ কয়েকজন এই সুদ ব্যবসা বন্ধের জন্য বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এবং সেই অভিযোগে প্রায় ৩০ জন ভুক্তভোগীর নাম রয়েছে। তবে ঐ লিখিত অভিযোগে সাদ্দামের মত আরও অনেক সুদ ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে। অভিযোগকারি তোফাজ্জল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই সাদ্দাম দীর্ঘদিন থেকে সুদের ব্যবসা করে আসছিলো। আমি তাকে সমবায় সমিতি থেকে একটি লাইসেন্স করতে বলি এবং আমাকে পার্টনার হিসেবে রাখতে বলি। এরপর সে আমাকে কাগজ পত্র করার জন্য সামান্য কিছু টাকা দেয়। সেই কাগজপত্র তৈরিতে বিলম্ব হলে সেই টাকার সুদ ধরে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। এরকমভাবে অসহায় গরীব মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁকা চেক ও ফাঁকা ষ্ট্যাম্পের উপর সই নিয়ে নিঃস্ব হতে হচ্ছে। তাই আমি সহ আরও অনেকজন মিলে এই সুদ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধ লিখিত অভিযোগ করেছি।
এবিষয়ে ঐ এলাকার কিছু সচেতন মহল বলছে এই সাদ্দামের মত আরও অনেকে আছেন যারা সরকারের নিয়মনীতি মানছেন না এবং সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছেন তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিতে হবে। যেন আর কাউকে এভাবে সর্বশান্ত হতে না হয়।

এবিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহমেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। এরকম আরও অনেকের নাম এসেছে। যারা সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে এই সুদ ব্যবসা করছেন, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓