1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
শৈলকুপায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুই লাশ ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ভোট স্থগিত - এশিয়া বার্তা
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

শৈলকুপায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুই লাশ ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ভোট স্থগিত

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আনোয়ার হোসেন , ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি ঃ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। ৫ ঘন্টার ব্যবধানে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর লাশ উদ্ধার ও অপর প্রতিদ্বন্দি কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই নিহত হওয়ায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। পাল্টাপাল্টি ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন একটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের ভোট স্থগিত করেছে। আগামী কাল শনিবার (১৬ জানুয়ারি) শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুলিশ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, ভোটের দুই দিন আগে বুধবার রাতে প্রার্থীসহ দুই জন নিহত হন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে শৈলকুপার কবিরপুর এলাকায় ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেনের ভাই আওয়ামীলীগের উমেদপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডিস ব্যবসায়ী লিয়াকত হোসেন বল্টু (৫০) ছুরিকাঘাতে নিহত হন। তিনি শৈলকুপা উপজেলার ষষ্টিবার গ্রামের মৃত মসলেম উদ্দীনের ছেলে। বল্টু পৌর এলাকার কবিরপুর এলাকায় প্রচারনা চালাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতের শিকার হন। প্রতিদ্ব›দ্বী পাঞ্জাবী প্রতিকের কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হোসেন বাবুর সমর্থক বাপ্পির নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বল্টু ও তার ভাই শওকতকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় বল্টুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শৈলকুপা পৌর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার দিন রাতেই নিহত বল্টুর উপর হামলাকারী কবিরপুর গ্রামের সামছুদ্দিনের ছেলে বাপ্পি (৩০) অজ্ঞাত ব্যক্তির হাতে আহত হয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আসে। এদিকে সহিংসতা ও ভাংচুর এড়াতে গোটা শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাত যত গভীর হতে থাকে ততই আতংক ও পিন পতনের নীরবতা নেমে আসে। বল্টু নিহত হওয়ার ৫ ঘন্টা পর খবর আসে একই ওয়ার্ডের স্বতন্ত্র কমিশনার প্রার্থী আলমগীর হোসেন বাবুর লাশ কুমার নদে পড়ে আছে। আশ্চর্য্য জনক হলেও সত্য নদীর ভেতরে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল তার মৃতদেহটি। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে এই কমিশনার প্রার্থীর তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। বল্টু নিহত হওয়ার পেছনে বাবুর সমর্থকদের দায়ী করা হচ্ছিল। বিষয়টি প্রমানিত হয় হামলাকারী বাপ্পি আহত হয়ে হাসপাতালে আসার পর। কারণ বাপ্পি ছিল বাবুর সমর্থক। ফলে নদীতে বাবুর লাশ পাওয়া ও বাপ্পির উপর হামলা একই সুত্রে গাথা বলে অভিযোগ করেন বাবুর স্ত্রী ফজিলতুন্নেছা ইতি। তিনি বলেন, এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। বল্টু নিহত হবার পর বাবু তার স্ত্রীকে ফোন করে জানিয়েছিলো “আমি নিরাপদে যাচ্ছি” কেও বাড়ি এসে দরজা খুলতে কললে যেন না খোলে”। এটাই ছিল স্ত্রীর সঙ্গে বাবুর শেষ কথা। এর কিছুক্ষন পরই বাবুল লাশ মেলে বরইপাড়া এলাকার কুমার নদে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটিকে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ধরে এর পিছনে নেপথ্যের কারণ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে। এক দিনে আওয়াামী সমর্থক দুই ব্যক্তির লাশ পাওয়ার ঘটনা পৌর নির্বাচনকে আরো সঙ্ঘাতময় ও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। অনেক মনে করেন একটি ঘটনার জের ধরে আরেকটি ঘটনা ঘটেছে। এদিকে কমিশনার প্রার্থী আলমগীর হোসেন বাবুর সমর্থক ও পরিবার দাবি করছেন পরিকল্পিত ভাবে বাবুকে হত্যা করা হয়েছে। শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুটি মৃত্যুর ঘটনায় এখনো কেও মামলা করেনি। তাই গ্রেফতারও নেই। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। শহরের কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিকে প্রার্থীসহ দুই জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিরা এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় দুটি পরিবারের স্বজনরা হতাশায় রয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓