কাজী জোবায়ের আহমেদ.
ঢাকার নবাবগঞ্জের চুড়াইন ইউনিয়নে ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহবুবুর রহমান লিটনের সহায়তায় বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার নামের তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবেদকের হাতে আসা তালিকা অনুযায়ী সরজমিনে গিয়ে বেশ কিছু অনিয়মের সত্যতা মিলে। যাদের স্বামী আছে অথচ তারা বিধবা ভাতা পাচ্ছেন। প্রতিবন্ধী না হয়েও পাচ্ছেন ভাতা। এমন ঘটনায় ৭নং ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর এলাকায় অনেকের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তালিকার ১৩৪ নং আইডিতে বিধবা ভাতার সুবিধা পাওয়া মুকলেসা বেগম জানান, তিনি বিধবা ভাতা পাচ্ছেন এবং তার স্বামী আছেন। লিটন মেম্বারের মাধ্যমে তিনি ভাতার কাগজ করেন বলে জানান।
এদিকে হালিমা বেগমের সাথে কথা হলে তিনিও একই কথা বলেন। হালিমা বেগমের স্বামী আছে বলেও স্বীকার করেন। তার আইডি নং ১৫২।
বিধবা ভাতার সুবিধাভোগী দেলোয়ারা বেগম জানান তিনি দুইবার ১৫০০ টাকা ভাতা পেয়েছেন। এরপর তিনি প্রতিবেদককে তার স্বামীর সাথে কথা বলতে বলেন। তার আইডি নং ২৬৩।
তালিকায় থাকা এমন আরও বেশ কয়েকটি নামে অনিয়মের তথ্য পওয়া গেছে।
এছাড়া প্রতিবন্ধী ভাতার সুবিধা পওয়া কয়েকজনের খোঁজ নিয়ে জানা যায় তাদের শারীরিক অন্য সমস্যা থাকলেও প্রতিবন্ধী হিসেবে তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করতে সহায়তা করেন লিটন মেম্বার।
এবিষয়ে চুড়াইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর বক্তব্য জানতে পরিষদে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইলে ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি দেশের বাইরে আছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মাহবুবুর রহমান লিটন জানান, এমন কোন তালিকায় তিনি সহায়তা করেননি। যদি কোন ভূল তালিকা হয়ে থাকে তবে সংশোধন করা যাবে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, তালিকা মূলত চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমে করা হয়। তারা কোন অনিয়ম করলে তথ্য হালনাগাদ করে তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়া হবে। বর্তমানে হালনাগাদের কাজ চলছে। তিনি আরও বলেন, এর আগে লিটন মেম্বারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়া যায়। সেটি আমরা সংশোধন করি।