1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
অনিয়মে উস্তাদ! হিসাব ছাড়াই টাকা নেন কামাল হোসেন - এশিয়া বার্তা
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১২:১৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

অনিয়মে উস্তাদ! হিসাব ছাড়াই টাকা নেন কামাল হোসেন

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১০২১ বার পড়া হয়েছে

কাজী জোবায়ের আহমেদ.
ঢাকার দোহার উপজেলার মাহমুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.কামাল হোসেনের নামে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে হিসাব ছাড়াই বিভিন্ন খাতে টাকা নেন তিনি। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তথ্যে অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়, উন্নয়ন ফি এর নামে টাকা আদায়সহ নানা অভিযোগ পাওয়া যায় এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সরজমিনে গিয়ে বেশকিছু অভিযোগের সত্যতা মিলে।
জানা যায়, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পরিক্ষার ফি বাবদ এক হাজার করে টাকা নেন কামাল হোসেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ৬শ’৫০ টাকা নিয়েছি। কোন কোন খাতে টাকা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি কোন প্রকার রশিদ দেখাতে পারেননি। পরদিন রাতে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে কিছু ভাউচার তৈরি করেন বলে জানা যায়। এদিকে গাইড বই বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও সংসদ গাইড কোম্পানী ( পুথি নিলয়) নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গাইড বই বিক্রির নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ পওয়া যায়। সম্প্রতি একটি পরিক্ষার রেজিষ্ট্রেশন ফি বাবাদ আট হাজার টাকা করে শিক্ষার্থীদের দিতে বলেন কামাল হোসেন। এনিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে পরিচালনা কমিটির হস্তক্ষেপে অতিরিক্ত টাকা নেয়া বন্ধ করা হয়। তার নানা অনিয়ম তুলে ধরে চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর শিক্ষা অফিস বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সোহরাব উদ্দিন। অভিযোগ পত্রে দেখা যায় কামাল হোসেনের স্ত্রী বিউটি আক্তারসহ আরও বেশ কয়েকজনকে নিয়োগের ক্ষেত্রে ভুল তথ্য দেন কামাল হোসেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত বছরগুলোতে পরিচালনা কমিটিকে কোন সঠিক হিসাব দেননি কামাল হোসেন।
এদিকে তার বেতন ১৬ হাজার ৬ শ’টাকা হলেও মূলত কত টাকা উত্তলন করেন একাউন্ট থেকে তার কোন তথ্য দিতে পারেননি তিনি। কারো সাথে আলোচনা না করে বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষকদের নামের তালিকা এমপিও ভূক্তির জন্য প্রেরণ করেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, তালিকায় যাদের নাম পাঠোনো হয় তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম ও আ: রাজ্জাকের নাম ২০২২ সালে ব্যানবেইসে অন্তর্ভূক্ত করলেও বিদ্যালয়ে তারা অনুপস্থিত। এবিষয়ে অভিযুক্ত কামাল হোসেন এর কাছে তথ্য জানতে চাইলে কোন তথ্য না দিয়ে সংবাদ প্রচারে নিষেধ করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ে আবারও তার বক্তব্য নিতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে ফোন করলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে প্রতিবেদককে সংবাদ প্রচারে নিষেধ করেন।
মাহমুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মাসুদ পত্তনদার জানান, আমরা নতুন কমিটি এবিষয়ে কিছুই জানতাম না। শীঘ্রই মিটিং কল করে সকল হিসাব নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের পরিক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফি ও উন্নয়ন ফি এর নামে ৮ হাজার টাকা দেয়েছেন কামাল হোসেন। আমরা জানতে পেরে অতিরিক্ত টাকা নেয়া বন্ধ করেছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, এটি একটি বড় অপরাধ। যারা এই ঘটনার সাথে জরিত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓