নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঢাকার দোহারের মৈনটঘাটে পদ্মায় ডুবে জান্নাতুল (১৫) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে নৌ পুলিশের সহায়তায় স্থানীয়রা পদ্মানদী হতে মৃত কিশোরী জান্নাতুলের লাশ উদ্ধার করে। নিহত জান্নাতুল মাহমুদপুর ইউনিয়ের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকার শেখ আনোয়ারের মেয়ে ও চর হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে জান্নাতুল ও তার দুই মামাতো বোন লামিয়া ও লরেন তিনজনে মৈনটঘাটে যায় জান্নাতুলের মা বাবাকে ভাত দিতে। সেখানে জান্নতুলের মা বাবা ধান নেয়ার কাজ করছিলো। তখন জান্নাতুলেরা তিন বোনে নদীর পারে যায় ঘুরতে। সেসময় একই এলাকার মস্তফার কিশোর ছেলে শাকিল জান্নাতুলকে নদীতে ধাক্কা দিলে জান্নাতুল সহ তিনজনেই পানিতে পরে যায়। এসময় লরেন উঠতে পারলেও লামিয়া ও জান্নাত উঠতে পারেনি। পরে তাদের আত্মচিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে ট্রলারের মাধ্যমে লামিয়াকে উদ্ধার করতে পারলেও জান্নাতুলকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে দুই ঘন্টা চেষ্টার পর মৃত অবস্থায় জান্নাতুলকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
লামিয়া জানান, আমার নদীর পাড়ে গেলে শাকিল জান্নাতুলকে ধাক্কা দেয় তখন জান্নাতুল ভিজে যায়। তখন জান্নাতুল শাকিলকে বলে আমি সাঁতার জানিনা ধাক্কা দিও না। আমরা তিনজন হাতধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। মানা করার পর আবারও পিছন থেকে অনেক জোরে ধাক্কা দেয় শাকিল। তখন আমরা তিনজন পানিতে পরে যাই। আমি আর জান্নাতুল অনেক দূরে গিয়ে পরি, জান্নাতুল আমার হাত ধরে ছিলো। আমাকে জারা উঠিয়েছে তাদের বলেছিলাম আমার বোন নিচে ডুবে গেছে ওকে বাঁচান। তখন তারা আবার আমার বোনকে খোঁজা শুরু করে।
জান্নাতুলের মা বলেন, শাকিল আমার মেয়েকে ধাক্কাদিয়ে পানিতে ফেলে মেরে ফেলছে। আমি এর বিচার চাই।
কুতুবপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রুবেল জানান, সোমবার বিকেলে খবর পেয়ে সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জান্নাতুলকে উদ্ধার করা হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।