দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি.
ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জে মাদক বেচাকেনা ও দ্বন্দ্বের জের ধরে ২০১৪ সাল থেকে অন্তত ছয়জন খুন হয়েছেন। পুলিশ জানায়, ২০২২ সালের ১১ আগস্ট নবাবগঞ্জে মাদক ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বে হৃদয় হোসেন (২২) নামের এক তরুণ নিহত হন। এর আগে ২০১৯ সালের ১৬ জুন সন্ধ্যায় নবাবগঞ্জ উপজেলার ফুল্লা ইউনিয়নের আটকাউনিয়া গ্রামে মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় যুবলীগ নেতা আরিফ হোসেনকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করেন মাদক ব্যবসায়ীরা। আরিফ স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে মাদক ব্যবসায় বিরোধের জের ধরে দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের বাবুডাঙ্গী এলাকায় মিন্টু শেখ (২৩) নামের এক ব্যক্তি খুন হন।
চলতি বছরের ২৪ নভেম্বর দোহারের বাশতলায় মাদক নিয়ে দ্বন্দে প্রকাশ্যে খুন হন নাজমূল (২৪) নামে এক যুবক। এঘটনায় রনি ডাকাত ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
এর আগের বছর ২০১৬ সালের ১৮ আগস্ট দোহার উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের রুইতা গ্রামে খুন হন মো. সেলিম (২৬)। ২০১৫ সালে নবাবগঞ্জের খানিপুর বাজারে মাদক ব্যবসায়ীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন শেখ আবদুল আজিজ (৫৫) ও তাঁর ছেলে মহিউদ্দিন মিশু। নবাবগঞ্জে মাদক সেবন ও বেচাকেনায় বাধা দেওয়ায় ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নবাবগঞ্জের বক্তারনগর গ্রামে মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়ারন বেগম (৩৫) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী মোতাহার হোসেন (৪৫) ও নাতনি রিয়া আক্তার (৮) আহত হয়। পুলিশের হাতে বেশ কযেকজন আসামী ধরা পরলেও বর্তমানে মাদক ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম অনেকটা আবার ছড়িয়ে পরেছে।
মাদক ব্যবসা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দোহারের সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা বলেন, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা যথেষ্ট নয়। এতে যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে। নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এ জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনের প্রয়োজন রয়েছে।