নিজস্ব প্রতিবেদক.
ঢাকার নবাবগঞ্জে অভিযান চালিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে প্রতারক চক্রটির একজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর চক্রটির মোট ৬জনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। বুধবার দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দোহার উপহেলার দক্ষিণ জয়পাড়া গাংপাড়ের শেখ ইদ্রিসের ছেলে শেখ রিপন (৩৩), ইকরাশির মো. জলিলের ছেলে মো. জুয়েল (১৯), লটাখোলা বিলপাড়ের শহিদুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান লাদেন (২২), ইকরাশির অপু মৃধার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার জুলি (২৮), লটাখোলার আকাশ মোল্লার স্ত্রী সুলতানা (৩৫) ও নবাবগঞ্জের ভাংগাপাড়ার নবু খানের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩৭)।
পুলিশ সূত্রে জানা জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের চরখলসি গ্রামের সোনিয়া বেগম বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে কলাকোপা ইউনিয়নের সমসাবাদের মেহেদি হাসানকে ফোন দেয়। তাদের মধ্যে দেখা হওয়া ও কয়েকবার কথা বলার পর সু-সম্পর্ক হয়ে যায়। গত ২০ অক্টোবর বিকেলে সোনিয়া তার নম্বর থেকে মেহেদি হাসানকে জানান, তিনি ভাংগাপাড়া তার বান্ধুবীর বাড়িতে আছেন, গাড়ি পাচ্ছে না। তাই মেহেদিকে অনুরোধ করে তাকে যেন মোটরসাইকেল করে বাড়িতে পৌছে দেন। মেহেদী সোনিয়ার কথামত ভাংগাপাড়া গেলে কৌশলে তাকে গ্রেপ্তারকৃত সাইফুলের বাড়িতে নিয়ে যায়। তখন সকল আসামীরা মেহেদিকে আটক করে মারধর করে তার কাছে তাকে নগদ সাড়ে ২১ হাজার টাকা, ব্যবহৃত মোবাইল ও তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল নিয়ে যায় এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এঘটনা মেহেদী আশেপাশের লোকজনদের জানালে তারা ২১ অক্টোবর আলালপুর থেকে সাইফুলকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ঐদিনই মেহেদী হাসান বাদি হয়ে সাইফুল ও সোনিয়াসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তখন সাইফুলকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
মামলা রুজু হওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদের নির্দেশনায় দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলমের তত্ত্বাবধানে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ওসি তদন্ত আজগর হোসেন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাজিবুল ইসলামসহ একটি চৌকস অভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার মামলার রহস্য উদঘাটক এবং ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ ডিসেম্বর ঘটনার সাথে জড়িত ৫ আসামীকে গ্রেপ্তার করে।
দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।