দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ:
জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ভেজাল ওষুধ বাজারজাতকরণের অভিযোগে ক্রিস্টাল ডার্মার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাহিদকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার কাছ থেকে সকল ভেজাল ওষুধ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার দুপুরে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আহসান উল হক। এ সময় ভেজাল সন্দেহে বেক্সট্রা কোম্পানির বেশ কিছু ওষুধও জব্দ করা হয়, যা জনমনে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে একই গ্রুপের স্বনামধন্য ও বিশ্বস্ত ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও, কিছু বিপথগামী চিকিৎসক নিম্নমানের ও অনুমোদনহীন ওষুধ রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে লিখছিলেন। বিনিময়ে ভেজাল ওষুধ চক্রের কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন তারা।
অভিযোগ রয়েছে, এসব চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে রোগীরা বাধ্য হয়েই মানহীন ওষুধ সেবন করছিলেন। এতে উপকারের বদলে তাদের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। চক্রটি ফার্মেসির মালিকদেরকে প্যাকেটের গায়ে লেখা মূল্যের অর্ধেকেরও কমে (৫৩%) লাভে ওষুধ সরবরাহ করছে। লাভ বেশি হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও অনেক ব্যবসায়ী এই চক্রের ফাঁদে পা দিচ্ছেন। এই চক্রের কারণে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহসান উল হক জানান, ক্রিস্টাল ডার্মা’র সিইও জাহিদ ভেজাল ওষুধ আমদানির কোনো বৈধ কাগজপত্র বা বিএসটিআই সার্টিফাই দেখাতে পারেননি। তাকে জরিমানা ও ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে সকল চিকিৎসক অনুমোদনহীন ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখবেন, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বলেও জানান তিনি।