দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি:
দোহারের নয়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও শিক্ষক হারুনুর রশিদ (হারুন মাষ্টার) হত্যার ৭২ ঘন্টা পর দোহার থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের ভাই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে শনিবার সকালে মামলাটি দায়ের করেন।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে মো. ফারুক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে মামলার এজাহার নামীয় আসামী। সে ধোয়াইর এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।
পুলিশ সূত্র ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, দলীয় কোন্দলের কারণে ও স্থানীয় ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামসুউদ্দিন মেম্বার ও ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব নাসির উদ্দিনদের সাথে চরম বিরোধ চলে আসছিলো। সেই বিরোধের জের ধরেই ওই গ্রুপটি পরিকল্পিতভাবে হারুন মাষ্টারকে গুলি করার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এরপর তারা লাশ ধোয়াইর জাবেদ আলীর মোড়ে পদ্মা নদীর পারে ফেলে রাখে। কিছু দিন পূর্বে সামসুউদ্দিন গ্রুপের সাথে হারুন মাষ্টারের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। সেই ঘটনার জের ধরেই তাঁকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন বাদী।
মামলার এজাহারে সামসুউদ্দিন মেম্বারকে প্রধান আসামী করে ৭ জনকে এজাহার নামীয় এবং ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়েছে। এজাহার নামীয় আসামী ফারুক হোসেন কে গ্রেপ্তারের বিষয়টি দোহার থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. নুরুন্নবী নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী আব্দুল মান্নান বলেন, তাঁর ভাইকে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দেয়া হোক। তিনি প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতায় কামনা করেন।