কাজী জোবায়ের আহমেদ.
ঢাকার দোহার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। অভিযোগ রয়েছে শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুশ শিহার সপ্তাহে একদিন অফিসের দায়িত্ব পালন করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গত দুই সপ্তাহের অনুসন্ধানে মেলে সত্যতা। সবশেষ রোববার সকাল ১১ টায় শিক্ষা অফিসে গেলে তার অফিসে ফ্যান ঘুরলেও চেয়ারটিও খালি পাওয়া যায়। পাশের রুমে এক পিয়নকে জিজ্ঞেস করলে জানান শিক্ষা কর্মকর্তা আজ আসেননি।
তথ্য মতে, শুধুমাত্র সোমবার অফিসে আসেন শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুশ শিহার। হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মারুফ হোসেন জানান খাতা থাকে শিক্ষা কর্মকর্তার ড্রয়ারে।
অপরদিকে চলতি বছরের ২৩ মার্চ দোহারে যোগদান করেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। অভিযোগ রয়েছে তিনি সপ্তাহে অফিস করেন মাত্র দুদিন। তার অফিস রুমে গেলে সত্যতা মিলে। দেখা যায় তার চেয়ারটিও ফাঁকা। এবিষয়ে জানতে তার মোবাইলে ফোন দিলে বলেন দুপুরের পর আসবেন তিনি।
শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী ফিরোজ আলমের অফিস রুমে গেলে তার চেয়ারটিও ফাঁকা পাওয়া যায়। অভিযোগ রয়েছে এই ফিরোজ আলমও নিয়মিত অফিসে আসেন না। এবিষয়ে ফিরোজ আলম বলেন, আমি নিয়মিত অফিস করি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এই তিন কর্মকর্তা প্রতিনিয়ত অভিস ফাঁকি দিলেও মাস শেষে তুলে নেন পুরো বেতন। তথ্য মতে, শিক্ষা কর্মকর্তা জানুয়ারী মাসের ১৬ তারিখে যোগদানের পর ধারাবাহিকভাবেই অনুপস্থিত থাকেন কর্মক্ষেত্রে। এছাড়া দোহার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেখানেও তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।
অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুশ শিহারের মোবাইলে বহুবার ফোন দিলেও তিনিও ফোন রিসিভ করেননি। জানা যায়, শিক্ষা অফিসে সাংবাদিকদের উপস্থিতি জানতে পেরে অনুপস্থিত কোন কর্মকর্তা ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, তারা যদি অনুপস্থিত থাকেন তাহলে প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।