দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি.
গত ১৩ জুলাই শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার অনুপস্থিতি নিয়ে ‘চেয়ার ফাঁকা, মাস গেলেই টাকা’’ এই শিরোনামে এশিয়া বার্তায় সংবাদ প্রকাশের পর আজকের রূপান্তর নামে একটি অনলাইন পত্রিকায় এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুশ শিহার, যা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এব্যাপারে এশিয়া বার্তার প্রতিবেদকের বক্তব্য তুলে ধরা হলো।
বেশ কিছুদিন ধরে শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে এই দুজন সপ্তাহে তিন দিনই অফিস করেন না। এনিয়ে আমরা প্রায় ৬দিন শিক্ষা অফিসে অনুসন্ধান চালিয়ে এর সত্যতা পাই। রোববার ১৩ জুলাই সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঐদিন শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুশ শিহার ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শারমিন আক্তার অফিসে ছিলেন না। তাদের বক্তব্য নিতে চাইলে সারাদিন ফোন দিয়েও ফোন রিসিভ করেননি নাজমুশ শিহার। এদিকে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শারমিন আক্তার ঢাকায় অবস্থান করে তিনি বলেন স্কুল ভিজিটে রয়েছেন। অথচ কোন স্কুল ভিজিটে আছেন জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। যার ফোন রেকর্ড আমাদের হাতে রয়েছে।
নাজমুশ শিহার তার দেয়া ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেছেন তিনি প্রয়োজনীয় কাজে ঢাকা ছিলেন। অফিসের সিসি ক্যামেরা দেখলে দেখা যাবে তার উল্লেখিত সকল তথ্য মিথ্যা। তিনি আরও বলেন, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা অসুস্থ ছিলেন অথচ তিনি একবারও সাংবাদিককে একথা জানাননি। বলেছেন তিনি ভিজিটে। নিয়মিত অফিস না করেই বেতন তোলেন এই দুই কর্মকর্তা।
এনিয়ে আজকের রূপান্তরের প্রতিনিধিকে ভূল তথ্য দিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করার তীব্র নিন্দা জানাই। এবং আগামীতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানাই।