নিজস্ব পতিনিধি.
প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ফুঁসলিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এক স্কুল শিক্ষক। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে অন্যত্র বিয়ের বাগদান সম্পন্ন করে। এক কথা শুনে ওই শিক্ষার্থী রোববার বিকেলে শিক্ষককে ডেকে রাস্তায় নেন কথা বলতে। এসময় ছাত্রজনতা ঘটনাটি জানতে পেরে প্রতারণার অভিযোগে ওই শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে। ঢাকার নবাবগঞ্জের বান্দুরায় এ ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষক প্রলয় গমেজ স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
পুলিশ ও ভিকটিম সূত্রে জানায়, নবাবগঞ্জের বান্দুরা এলাকার একটি বালিকা বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক প্রলয় গমেজ এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই মেয়েটির গৃহশিক্ষক ছিলো। তাদের মধ্যে একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে শিক্ষক। পরে কিশোরী শিক্ষককে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তখন শিক্ষক তাঁকে বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করে।
এসময় মেয়েটিকেও তারা পুলিশের হেফাজতে দেয়। পরে পুলিশ আহত শিক্ষককে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেয়। খবর শুনে রাতে মেয়ের মা ও স্বজনরা এসে বিস্তারিত জেনে রাত ১২ টায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে। শিক্ষার্থীর মা মামলার বাদী হয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁর মেয়েকে সরল মনে পড়াতে দিয়ে একজন পেশাদার শিক্ষক কি করে এ কাজ করতে পারে। তিনি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলত শাস্তি দাবি করেন। ভিকটিমকে আজ সোমবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ধর্ষণ মামলা রজু করা হয়েছে। জনতা অভিযুক্ত শিক্ষককে ধরে থানায় দেয়। আসামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হয়। ভিকটিমের মেডিকেল টেষ্টের জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।