দোহার প্রতিবেদক, ঢাকা:
ঢাকার দোহার উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরে এক ব্যতিক্রমী ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত ঢাকা-০১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার মোঃ নজরুল ইসলাম।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দোহার উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় এবং দোহার উপজেলা জামায়াত একত্রে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই সমাবেশ করেছেন। অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম মন্দিরে উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে মন খুলে কথা বলেন। তিনি তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক নানা সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সেসব সমাধানে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বিশেষ করে মন্দিরের নিরাপত্তা ও সংস্কারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন, যা উপস্থিত সবার মধ্যে স্বস্তি ও আনন্দের জন্ম দেয়।
ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, আপনাদের সন্তান, আপনাদের ভাই। আমি এই মাটিতে জন্মেছি, এই মাটিতেই বড় হয়েছি । এই দেশ হিন্দু- মুসলিম সকলের ইনসাফের অভিন্ন ঠিকানা। আমি বিশ্বাস করি নেতৃত্ব মানেই দায়িত্ব, আর দায়িত্ব মানেই সততা, স্বচ্ছতা ও জনগণের নিকট জবাবদিহিতা। কেননা জনগণের ভোট মানেই জনপ্রতিনিধির নিকট আমানত। তিনি আরও বলেন, অতীতে আপনাদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। আপনারা ভয়ে-আতঙ্কে দিন কাটিয়েছেন, অবহেলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু আমি আপনাদের সামনে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—আমি যদি আপনাদের প্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পাই, তবে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষ আমার কাছে সমান হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ণ চন্দ্র এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “ব্যারিস্টার নজরুল সাহেব নিজে এসে আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন, আমাদের সমস্যার কথা শুনছেন। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সম্মানের বিষয়। আমরা তার এমন আন্তরিকতায় খুবই খুশি।” এই মতবিনিময় সভাটি কেবল আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়ানোর জন্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী অংশগ্রহণকারীকে পুরস্কার হিসেবে এক বক্স চকলেট দেওয়া হয়, যা এই বন্ধুত্বপূর্ণ আয়োজনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্যরা ব্যারিস্টার নজরুল ইসলামের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তারা বলেন, এমন পারস্পরিক যোগাযোগ সমাজে সম্প্রীতি ও আস্থা বাড়াতে সাহায্য করবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হওয়া এই আয়োজনকে এলাকার অনেকেই একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা বহন করবে।