
নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঢাকার দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অনিয়ম ও অনুপস্থিতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে প্রবেশের হাজিরা দিলেও বের হওয়ার সময় তিনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে তার প্রকৃত উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় দালালদের ঘোরাফেরা ও দৌরাত্ম্যে পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। নির্ধারিত সময়ের বাইরে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা বারবার জরুরি বিভাগে প্রবেশ করায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়। এছাড়া হাসপাতালের খাবারের নিম্নমান নিয়েও রোগী ও স্বজনদের ক্ষোভ রয়েছে।
রোগী ও স্বজনরা অভিযোগ করেন, কর্মকর্তার নিয়মিত অনুপস্থিতি ও তদারকির অভাবে এসব অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চললেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার অফিসকক্ষে গেলে ডা. রবিউল ইসলামকে পাওয়া যায়নি। কক্ষের সামনে অপেক্ষমাণ কয়েকজন জানান, বহুক্ষণ অপেক্ষা করেও তার দেখা পাননি তারা।
হাসপাতালের হাজিরা নথিতে দেখা যায়—চলতি মাসের ১ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত প্রবেশের ফিঙ্গারপ্রিন্ট রয়েছে, তবে কোনো দিনেরই বের হওয়ার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেই।
এ বিষয়ে ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, তিনি নিয়মিত অফিস করেন এবং সেদিন একটি মিটিংয়ে ছিলেন। বের হওয়ার সময় ফিঙ্গারপ্রিন্ট না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “মাঝে মাঝে বের হওয়ার সময় হাজিরা দিতে মনে থাকে না।”
অন্যদিকে, এ বিষয়ে জানতে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. জিল্লুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।