1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
প্রধান খবর:
কেরানীগঞ্জে নিরাপদ,স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাদ্য বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের ২য় দিনের কর্মবিরতি মানিকগঞ্জে ভূমি খেকোদের বিরুদ্ধে লোকদেখানো অভিযান মানিকগঞ্জে বিলিন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি আমি বিজয়ী হলে গ্রীন ক্লিন স্মার্ট কেরানীগঞ্জ গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ শাহীন আহমেদ নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন: সভাপতি সুমন, সম্পাদক সোহেল নিজ অর্থায়নে সেতু সংস্কার করলেন ইউপি চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছে গিয়াস উদ্দিন সোহাগ দোহারের করিমগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় যুবক নিহত কেরানীগঞ্জে তৃষ্ণার্ত পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ

ছাত্রলীগ নেতা থেকে প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ী

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে
ছাত্রলীগ নেতা থেকে প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ী

দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের কালীগঙ্গা নদী থেকে শুষ্ক মৌসুমে নদীর মাটি কেটে দেদারসে সাবাড় করছে একটি চক্র। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন চলছে মাটির এই রমরমা ব্যবসা। ইটভাটা থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই বিক্রি হচ্ছে এই মাটি। ভাড়ী বাহনে মাটি আনা-নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে সড়ক মহাসড়কের। তীব্র ধুলাবালিতে স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়েছে এলাকাবাসী।

অবৈধ এই মাটি ব্যবসার মূল হোতা সদর উপজেলার জাগির ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তপু আহম্মেদ মামুন। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিতে আসার পর থেকে কয়েক বছরের মাথায় প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ী বনে গেছেন। হয়েছেন একাধিক মালবাহী ট্রাকের মালিক। এলাকায় মাটির সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করেই গড়েছেন তার আয়েশী জীবন।

সরেজমিনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া এবং সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম এলাকা ঘুরে কালীগঙ্গা নদীর একাধিক স্থান থেকে এই মাটি উত্তোলন করতে দেখা গেছে।

ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার আগ পর্যন্ত তেমন কোন পদবী ছিল না এই মাটি ব্যবসায়ী মামুনের। তবে নিয়ন্ত্রন করতেন এলাকার কিশোর গ্যাং। ছিল চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ।

কমিটিতে আসার দু’বছরের মাথায় তার ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। একই সাথে মাটি ব্যবসা এবং অবৈধ মাটি পরিবহনে তৈরি করেছেন পরিবহন সিন্ডিকেট। ক্ষমতাসীন এই নেতা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করে সবসময়ই থেকেছেন প্রশাসনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এলাকায় শক্ত অবস্থানের কারনে সাধারণ মানুষ তার অবৈধ কাজের জন্য মুখ খুলতে সাহস করেন না।

জানাগেছে, কালীগঙ্গা নদী থেকে ধলেশ্বরীর উৎসমুখ সাটুরিয়ার তিল্লি থেকে গোপালপুর হয়ে গাজীখালী পর্যন্ত ৪৫.৫ কিলোমিটার খনন শুরু হয় ২০১৯ সালের নভেম্বরে। পাঁচটি প্যাকেজে এ খনন কর্মসূচির চুক্তি মূল্য ধরা হয় ৭৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সময় সংযোজন করে কাজ শেষ হয় ২০২১ সালে।

নদী খননের পর পানি প্রবাহ ঠিক থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে হয়ে যায় ধু-ধু বালুচর। তখনই অবৈধ পন্থায় অপরিকল্পিতভাবে কাটা হয় বালু। এতে করে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে শুরু হয় ভাঙ্গনের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, সরকার নদী খনন করে যাওয়ার পর অপরিকল্পিতভাবে মাটি কাটায় পুনরায় আমাদের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুম আসলেই আমরা তীব্র নদী ভাঁঙনের শিকার হচ্ছি। আর মাটি নিয়ে বড়-বড় যানবাহন চলাচলে সড়ক ভেঙে দেবে যাচ্ছে।

অবৈধ এই মাটি ব্যবসায়ীর সাথে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব সাইট তো আর আমি চালাই না, একাও চালাই না। আমার এখন কোন মাটির সাইড চলছে না। নিয়মের বাইরে কিছুই করি নাই।’

ধলেশ্বরী নদী বাঁচাও আন্দোলনের নেতা দীপক ঘোষ বলেন, সরকারিভাবে পরিকল্পিত ভাবে নদী খননের পর অসাধু ব্যবসায়ীদের অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন খুবই দুঃখজনক। এর কারনে ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে জনপদের মানুষ। আমরা এর প্রতিকার চাই।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী বলেন, ‘নদীর মাটি কেউ খনন করে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓