1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
প্রধান খবর:
কেরানীগঞ্জে নিরাপদ,স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাদ্য বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের ২য় দিনের কর্মবিরতি মানিকগঞ্জে ভূমি খেকোদের বিরুদ্ধে লোকদেখানো অভিযান মানিকগঞ্জে বিলিন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি আমি বিজয়ী হলে গ্রীন ক্লিন স্মার্ট কেরানীগঞ্জ গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ শাহীন আহমেদ নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন: সভাপতি সুমন, সম্পাদক সোহেল নিজ অর্থায়নে সেতু সংস্কার করলেন ইউপি চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছে গিয়াস উদ্দিন সোহাগ দোহারের করিমগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় যুবক নিহত কেরানীগঞ্জে তৃষ্ণার্ত পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক.
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল গতকাল (১৭ ডিসেম্বর), এরপর আজ (১৮ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা।

সোমবার ১৮ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় পুরোদমে চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন তারা। সেই হিসাবে প্রচার-প্রচারণার জন্য ১৮ দিন সময় পাবেন প্রার্থীরা। তবে সব প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।

রোববার জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৩৪৭টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ৫টি স্থগিত হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন ২৭টি রাজনৈতিক দলের ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী।

তবে প্রচারণার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হচ্ছে প্রার্থীদের:
সংসদ নির্বাচনে করণীয় সব পদক্ষেপ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রত্যেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য ব্যক্তিকে বিধি ৬ হতে বিধি ১৪ এর বিধানাবলী অনুসরণ করিতে হইবে। এই বিধিগুলোতে যেসব বিষয়ে বলা হয়েছে তার কয়েকটি ধারা হচ্ছে:

সভা-সমিতি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ:

(ক) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি প্রচারণার ক্ষেত্রে সমান অধিকার পাইবে। তবে প্রতিপক্ষের সভা, শোভাযাত্রা এবং অন্যান্য প্রচারাভিযান পণ্ড বা উহাতে বাধা প্রদান করিতে পারিবে না;

(খ) সভার দিন, সময় ও স্থান সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে লিখিত অনুমতি গ্রহণ করিবে। তবে এইরূপ অনুমতি লিখিত আবেদন প্রাপ্তির সময়ের ক্রমানুসারে প্রদান করিতে হইবে।

(গ) সভা করিতে চাহিলে প্রস্তাবিত সভার কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে তাহার স্থান এবং সময় সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিতে হইবে, যাহাতে ওই স্থানে চলাচল ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারে;

(ঘ) জনগণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করিতে পারে এমন কোনো সড়কে জনসভা কিংবা পথ সভা করিতে পারিবে না এবং তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিও অনুরূপভাবে জনসভা বা পথসভা ইত্যাদি করিতে পারিবে না;

(ঙ) কোনো সভা অনুষ্ঠানে বাধাদানকারী বা অন্য কোনোভাবে গোলযোগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সভার আয়োজকরা পুলিশের শরণাপন্ন হইবেন এবং এই ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তাহারা নিজেরা ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন না।

পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ:

কোন প্রার্থী কিংবা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নিম্নে উল্লিখিত স্থান বা যানবাহনে কোনো প্রকার পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাইতে পারিবেন না। যথা⎯ সিটি কর্পোরেশন এবং পৌর এলাকায় অবস্থিত দালান, দেওয়াল, গাছ, বেড়া, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোন দণ্ডায়মান বস্তুতে; সমগ্র দেশে অবস্থিত সরকারি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের স্থাপনাসমূহে; এবং বাস, ট্রাক, ট্রেন, স্টিমার, লঞ্চ, রিকশা কিংবা অন্য কোন প্রকার যানবাহনে : তবে শর্ত থাকে যে, দেশের যে কোন স্থানে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ঝুলাইতে বা টাঙ্গাতে পারিবে।

এ ছাড়া কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদির উপর অন্য কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদি লাগানো যাইবে না এবং উক্ত পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ইত্যাদির কোন প্রকার ক্ষতিসাধন তথা বিকৃতি বা বিনষ্ট করা যাইবে না।

কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃতব্য পোস্টার সাদা-কালো রঙের হইতে হইবে এবং উহার আয়তন ২৩″ / ১৮″ এর অধিক হইতে পারিবে না এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পোস্টারে তাহার প্রতীক ও নিজের ছবি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক ছাপাইতে পারিবে না। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনীত হইলে সেক্ষেত্রে তিনি কেবল তাহার বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টারে ছাপাইতে পারিবে।

যেমন- উল্লিখিত ছবি সাধারণ ছবি হইতে হইবে এবং কোনো অনুষ্ঠান, মিছিলে নেতৃত্বদান, প্রার্থনারত অবস্থা ইত্যাদি ভঙ্গিমায় ছবি কোনো অবস্থাতেই ছাপানো যাইবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃতব্য সাধারণ ছবির আয়তন ২৩″ / ১৮″ এর অধিক হইতে পারিবে না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীকের সাইজ, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা উচ্চতা তিন মিটারের অধিক হইতে পারিবে না।

যানবাহন ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ:

(ক) কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি কোন ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোন যান্ত্রিক যানবাহন সহকারে মিছিল কিংবা মশাল মিছিল বাহির করিতে পারিবে না কিংবা কোনরূপ শোডাউন করিতে পারিবে না;

(খ) নির্বাচনী প্রচারকার্যে হেলিকপ্টার বা অন্য কোনো আকাশযান ব্যবহার করা যাইবে না। তবে দলীয় প্রধানের যাতায়াতের জন্য উহা ব্যবহার করিতে পারিবে কিন্তু যাতায়াতের সময় হেলিকপ্টার হইতে লিফলেট, ব্যানার বা অন্য কোন প্রচার সামগ্রী প্রদর্শন বা বিতরণ করিতে পারিবে না;

দেয়াল লিখন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ:

(ক) কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি দেওয়ালে লিখিয়া কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা চালাইতে পারিবেন না; এবং

(খ) কালি বা রং দ্বারা বা অন্য কোনোভাবে দেওয়াল ছাড়াও কোনো দালান, থাম, বাড়ি বা ঘরের ছাদ, সেতু, সড়ক দ্বীপ, রোড ডিভাইডার, যানবাহন বা অন্য কোন স্থাপনায় প্রচারণামূলক কোন লিখন বা অঙ্কন করিতে পারিবেন না।

মাইক ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ:

কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি কোন নির্বাচনী এলাকায় মাইক বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী অন্যবিধ যন্ত্রের ব্যবহার দুপুর ২ (দুই) ঘটিকা হইতে রাত ৮ (আট) ঘটিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখিবেন।

সরকারি সুবিধা নিয়ে প্রচারণা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ:

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী এলাকায়, সংশ্লিষ্ট জেলায় বা অন্য কোথাও কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচার যন্ত্রের ব্যবহার, সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে ব্যবহার বা সরকারি যানবাহন ব্যবহার করিতে পারিবেন না এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ বা ব্যবহার করিতে পারিবেন না।

এ ছাড়া আরেক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানিয়েছে, অর্থ, অস্ত্র, পেশিশক্তি , স্থানীয় প্রভাব বা সরকারি ক্ষমতার দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাবে না। নির্বাচনী জনসভা বা মিছিলের দিন, সময় ও স্থান সম্পর্কে পূর্বেই স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে কোনো সড়কে পুলিশ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে জনসভা করা যাবে না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিলের উপর অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ইত্যাদি লাগানো যাবে না। সরকারি ডাকবাংলো, রেস্ট হাউস, সার্কিট হাউস বা কোনো সরকারি কার্যালয়কে কোনো প্রকার প্রচারের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

তথ্য সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓