ঢাকা দক্ষিণ প্রতিনিধি.
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ১৩৭ হজ্বযাত্রীর হজের প্রায় ৬ কেটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া মাওলানা ফয়জুর রহমান (৪৫) কে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে দুবাই থেকে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে খবর পেয়ে ওই রাতেই কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালেদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিমানবন্দরে গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসেন।
জানা যায়, কেরানীগঞ্জে ১৩৭ জন হজযাত্রীর প্রায় ৬ কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপন করে হজ এজেন্সি মালিক ফয়জুর রহমান। এঘটনায় হজ্বযাত্রী জাকির হোসেন ২৫ ফেব্রুয়ারী কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালেদুর রহমান বলেন, মামলার পর আদালতের নির্দেশে ফয়জুরের ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করা হয়, যদিও সেখানে মাত্র ৭৩ লাখ টাকা সর্বশেষ জমা আছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে তার পাসপোর্ট তল্লাশি করে জানা যায়, ওইদিনই (২৫ ফেব্রুয়ারী) সে বাহরাইন চলে যায়। তার পাসপোর্ট আমরা অবজেকশন দিয়ে রেখেছিলাম। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সে দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারের একটি বিমানে ঢাকায় পৌছানোর পর বিমানবন্দর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আমাদের খবর দেয়।
পালানোর পর দেশে ফিরে আসার বিষয়ে ফয়জুর পুলিশকে বলেছে, হজযাত্রীর টাকা আত্মসাৎ করাটা তাকে মানসিক পীড়া দিচ্ছিল। সে একা ঘুমাতে পারতো না। এছাড়াও সে ভেবেছিল, এতো দিনে হয়তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। দেশে আসার পর কোথাও আত্মগোপনে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। সে প্রায় ৬ কোটি টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠাবো। গ্রেফতারকৃত ফয়জুর রহমানের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার পাটুলী এলাকায়। বাবার নাম আব্দুল কুদ্দুস। ফয়জুর রহমান জিনজিরা গোলজারবাগ মসজিদ মার্কেটের ৩য় তলায় ‘নজরুল এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলার্স’ নামে হজ্ব এজেন্সি খুলে ১০ বছর ধরে লোকজনকে হজে পাঠিয়ে আসছিল ।
এদিকে তার গ্রেফতার এর খবর পেয়ে ভুক্তিভোগী হজ্ব যাত্রীরা কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় শুক্রবার সকালেই ভীর জমাতে থাকে।